সূচনা সংখ্যায় সেরা লেখক হিসেবে নির্বাচিত হলেন অরুণ বর্মন

সাহিত্য বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সূচনা সংখ্যায় সেরা লেখক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন যশোরের অরুণ বর্মন।

জুন ২০২২ এ প্রকাশিত হয় সাহিত্য বিজ্ঞান ম্যাগাজিনের সূচনা সংখ্যা। যার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে ম্যাগাজিনটি।

আর এই সূচনা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল যশোরের লেখক অরুণ বর্মনের লেখা একটি গল্প। গল্পটির নাম ছিল “বুদ্ধির মুক্তি”।

প্রতি সংখ্যায় সাহিত্য বিজ্ঞান সেরা লেখক নির্বাচন করে এবং পাশাপাশি সেরা লেখকে পুরস্কার প্রদান করে। তার ধারাবাহিকতায় অরুণ বর্মনের লেখা “বুদ্ধির মুক্তি” গল্পকে সেরা গল্প ও গল্পের লেখকে সেরা লেখক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

বিচারক প্যানেল বলেন, “বর্তমানে দেশের অনেকাংশেই গল্পটির মতো অবস্থা বিদ্যমান। এই গল্পে সেই অবস্থাটিই ফুটিয়ে তোলা হইছে। আর কিভাবে এই সমস্যার প্রতিকার করা সম্ভব তাও দেখানো হয়েছে।

এখন স্বাধীন বাংলাদেশ হলেও বাংলাদেশের অনেক মানুষের মনের স্বাধীনতার বিকাশ হয় নাই। আর এটা একমাত্র সম্ভব শিক্ষার মাধ্যমে। আর সেটা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হলে চলবে না হতে হবে মনঃস্তাত্ত্বিক শিক্ষা।

মন যে বিদ্যা চায় সে বিদ্যা অর্জন করতে হলে লাইব্রেরি প্রয়োজন। আর এই লাইব্রেরি দরকার এখন প্রত্যেক এলাকায় এলাকায় যেটা আমরা প্রমথ চৌধুরীর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধতেও দেখতে পাই।

এই গল্পে দেখানো হয়েছে এই সমস্যা সমাধানে ঝুঁকি কেমন। এটাও বাস্তবিক। কারণ ধর্মান্ধদের কাছে ধর্ম আগে এটা এখন কারো কাছে   অজানা কিছু নয়। ধর্ম এখন একটা স্পর্শকাতর বিষয়। তবে কোনো কিছু অর্জন করতে গেলে ত্যাগ স্বীকার করতেই হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে গিয়ে যেমন বহু মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তেমনি এক্ষেত্রেও মানুষের মনের স্বাধীনতা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য যে উদ্যোগ বা কাজ করতে হবে সেক্ষেত্রে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে না এটা ভাবাটাও অগ্রাহ্যকর।

গল্পের পরিনতিও গল্পে সুষ্ঠুভাবে ফুতে উঠেছে। লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একদিন ধর্ম থাকবে মানুষের মনে,বিবেকে এবং তার চরিত্রে এবং জ্ঞান থাকবে মানুষের কর্মে যার মাধ্যমে মানুষ বাস্তবিকভাবেই তার চিন্তা বা মনের স্বাধীনতা উপলব্ধি করতে পারবে।

গল্পে এসব বিষয় সুষ্ঠুভাবে ফুটিয়ে দেখানোর জন্যই এই গল্পটা আমরা সেরা বলে বিবেচিত করেছি।”

সেরা লেখক হিসেবে নির্বাচিত অরুণ বর্মন সাহিত্য বিজ্ঞানকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। পুরস্কার স্বরুপ স্মারক ক্রেস্টটি হাতে পেলাম তিনি অনেক আনন্দ প্রকাশ করেন।

সাহিত্য বিজ্ঞান একটি বিজ্ঞান ও সাহিত্যের সমন্বিত একটি ভিন্ন ধর্মী ম্যাগাজিন। যা নিয়মিত প্রকাশ হয়ে আসছে। পত্রিকা আকারে প্রকাশ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন লেখা সাহিত্য বিজ্ঞানের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করে থাকে। খুব অল্প সময়ের বাংলা ভাষার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ম্যাগাজিনটি। যে কোনো বয়সের লেখক ম্যাগাজিনটিতে লেখা জমা দিতে পারেন। প্রকাশিত লেখাগুলোর মধ্যে সেরা হিসেবে নির্বাচিত হলে পুরস্কার প্রদান করে থাকে সাহিত্য বিজ্ঞান।

Related posts

বর্ণ সংখ্যার সেরা লেখক আশা মনি ও মুহম্মদ আমির উদ্দিন

সাহিত্য বিজ্ঞান ম্যাগাজিন বিক্রির অর্থে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্কুল ব্যাগ

ম্যাগাজিন বিক্রির অর্থে শিক্ষা উপকরণ পেল সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা