বরফে মোড়া শীতের ধরিত্রী;
যেন প্রাণহীন, স্পন্দন-বিহীন
দীর্ঘ মহানিদ্রায় লুটিয়ে পড়ে।
সবকিছুকে যেন তার শুভ্র চাদরে
মুড়ে আগলে রাখতে চাই।
বৃদ্ধের কোচকানো ত্বকের ন্যায়
যেন সবকিছু কুকড়ে যায়।
একদিন, নববসন্তের প্রথম রৌদ্রে
চোখ মেলে চায় ধরিত্রী।
সে তাকানো প্রথম ফুটে ওঠে গাছে।
ফ্যাকাসে গাছগুলো ভরে যায়
অগুনতি ছোট্ট ছোট্ট পাতার কুড়িতে।
সবুজ বলাকা যেন মেলে ধরেছে
লক্ষ লক্ষ অঙ্কুরের পাখা।
নদীর বুকের উপর জমাটবাঁধা
বরফের জগদ্দল পাথর,
নবকিরণে ফেটে চৌচির হয়ে
গম্ভীর শব্দে শত নব জলধারা
বেয়ে চলে দুরন্তপনায়।
গভীর নীলাম্বজের মতো
নবীন নীলাকাশ, হংসশুভ্র
মেঘের ঝালর ঝুলিয়ে
চন্দ্রাতপ সাজিয়েছে আপন মনে।
উপত্যাকার সবুজের বন্যায়
যেন জনপদ অরন্য নিমজ্জিত।
নীলাকাশের নীল আর,
সোনালী রোদের হলদে মিশিয়ে
শুভ্র চাদর সবুজে মুড়েছে।