শুধু তোমার জন্যে শব্দেরা আমাকে বিদ্ধ করতে শিখেছে!
আগে আরো কত রাত জেগেছি নিরালা।
কৈ, একটা শব্দ তো দূরের কথা একটা বর্ণের ধ্বনি ও কলমের ক্ষরিত আঁচড়ের আঘাত হানা তো দূরের কথা
একটা কালির দাগ কাটতে শেখে নি!
আজ পঞ্চাশ টা বর্ণমালা একযোগে
কবিতার শব্দ হতে চাইছে-
নিরাঞ্জনা!
কবিতার শব্দ গুলো মধ্যে রাতে তোমার অবনত মুখের বিন্দু বিন্দু ঘামের মতো কবিতার অক্ষর হতে চাইছে!
তোমার জন্যে শব্দেরা আমাকে বিদ্ধ করতে শিখছে-
আজকাল শব্দেরা ঋষির বাণের মত আঘাত হানতে শিখেছে।
শব্দেরা আমার ওষ্ঠ কামড়ে ধরছে-
বক্ষ ব্যাধির মত বুকের ভেতর শব্দের সে কি অবাধ দখলদারিত্ব,
আধোঘুমে অনত মুখের এলোমেলো চুল
সবেগ ছুটে আসা নিশ্বাসের মতো শব্দেরা গঠনের বিন্যাস চাইছে-
কবিতার প্রতিটি চরণ বিরাম চিহ্নের মতো পুরাদস্তুর বিন্যাস চাইছে,
আমার সম্পূর্ণ আবেগ আজ কবিতার দখলদারত্বের শিকার
আর শেকড়ের মতো বিস্তৃতি তার….
নিরাঞ্জনা!
তোমার মুখ আজ মোমবাতির আলোর মতো
তাতে শব্দের চুম্বনের লিপ্ততা,
তুমি হেসে উঠলে-হেমন্তের শিশিরের মত শব্দেরা পড়বে ছুঁয়ে
কার্নিশ বেয়ে দেয়াল জুড়ে।
মরা প্রজাপতির পাখার মতো শব্দেরা তখনো রবে পড়ে যত্রতত্র,
বহুদিন পর দেখা হলে তোমার বাঁকা চোখ কবিতার শব্দ হয়ে কথা কইবে।
টিপের মতো স্পষ্ট শব্দেরা শরীরের সাথে যাবে মিশে।
শুধু তোমার জন্যে শব্দেরা আমাকে আজকাল বিদ্ধ করতে শিখেছে –
ক্রিস্টালের দৃঢ়তা গলনাংকে গিয়েছে মিশে
নিরাঞ্জনা
আমি এখনো জানি নে আমার নিজস্বতা জুড়ে
কোনো কবিতার শব্দের একত্মা জুড়ে আছে কি না।
আমি এখনো জানি না, শুধু তোমার জন্যে
কবিতার শব্দ আমায় বিদ্ধ করে কি না।
আমি আজন্মের চিরঋণী কি না,
তোমার কাছে,
নাকি কবিতার কাছে
আমি তা কইতে পারবো না।
শুধু তোমার জন্যে শব্দেরা আজকাল আমাকে বিদ্ধ করতে শিখেছে কি না
আমি সত্যি জানি না ;নিরাঞ্জনা।