ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে কাজের বুয়া রমিজের মায়ের চিল্লাচিল্লিতে ঘুম ভেঙ্গে গেল। তার বাজখাঁই গলার আওয়াজে বলতে শুনলাম, তোমরা এখনও ঘুমাচ্ছো! ওদিকে কি কান্ড হয়েছে জানো?
মাঘের ভোর। কড়া শীতে লেপ মুড়ি দিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছি। এসময়ে রমিজের মায়ের ঝাঁঝালো গলার চিল্লাপাল্লা অসহ্য লাগছে। যে কান্ডই ঘটুক তোর এতো ভোরে এসে চিল্লানোর দরকার কি? মনে হচ্ছিল জোরে একটা দাবড় দিয়ে চুপ করিয়ে দেই।
এর মধ্যে রমিজের মা চিল্লায়ে বলে উঠলো
ও পাড়ায় কাশেম মাষ্টারের ছেলে মোমিনুলকে কারা যেন খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রেখে গেছে।
চোখ মুছতে মুছতে হতচচকিয়ে বসে পড়লাম। বললাম বলো কি তুমি? ঠিক শুনছো তো?
হ্যাঁ হ্যাঁ শুনেছি কি আমি নিজে গিয়ে দেখে এলাম।
এতক্ষণ মনে হয় পুলিশ এসে ভরে গেছে ।
তড়বড়িয়ে উঠে পড়লাম।
ট্রাউজারটা পরে জামাটা কোনোমতে গায়ে জড়িয়ে ছুটলাম মোমিনুলের বাড়ির দিকে।
দূর থেকেই দেখতে পেলাম তার বাড়ির আশেপাশে বহুলোকের সমাগম।
যখন পৌঁছালাম দেখলাম পুলিশ লাশ ঘিরে রেখেছে। পোস্টমর্টেমের প্রস্তুতি চলছে। এক পলক দেখার জন্য কাছে গেলাম কিন্তু তাকাতে পারলাম ওর দিকে।
কী অপূর্ব চেহারার এক যুবক এখন কালো মুখ করে যেন ঘুমিয়ে আছে। এক পুলিশের কাছে শুনলাম গায়ে অজস্র মারের দাগ নাকি। গলায় দেখলাম দড়ি পেঁচানো দাগ। মনে হলো প্রচন্ড মারের শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
কান্নায় বুকটা হুহু করে উঠলো। চোখের জল ঠেকিয়ে রাখতে পারলাম না।
এইতো গত পরশু দিন রাতে আমার বাড়িতে ওর সাথে প্রায় তিন ঘন্টা কথা হলো।
তার আগের রাতে হওয়া লাইব্রেরী স্থাপনের মিটিং সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলো। অনেক আফসোস করলো।
মোমিনুলের সাথে আমার বয়সের পার্থক্য ছিল প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর। তবু সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। আমাকে বড়ভাই বলে ডাকতো। আমার সাথে তার জীবনের সকল কথা শেয়ার করতো। আমিও চেষ্টা করতাম।
তার বাড়ি আর আমার বাড়ি গ্রামের এপাড়া ওপাড়া। দুরত্ব দুই কিলোমিটারের মতো হবে। গ্রামে আসলেই ও আমার বাড়ি চলে আসতো, আমার সাথে বেশি সময় কাটাতো। কারণ আমিও কিছুটা তার মতাদর্শি ছিলাম।
তার বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তিনি আমাদের ইংরেজির স্যার ছিলেন। অনেক সৎ, জ্ঞানী, বিচক্ষণ ও দক্ষ মানুষ ছিলেন তিনি।
গত পরশু সন্ধ্যায় এসে মোমিনুল তার জীবনের বহু কথা আমাকে বলেছিল।
বলছিলো—
বড়ভাই আমি আপনাদেরই ছেলে, আপনাদের সামনেই বড় হয়েছি। আপনিতো আমাদের পরিবার সম্পর্কে জানেন।
আমার বাবা ছিলেন এই অঞ্চলের একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। মুক্তমনের প্রগতিশীল মানুষ। মাও ছিলেন শিক্ষিতা এবং সব সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন নারী।
মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পনেরো বছর পরে আমার জন্ম। তবু বাবা আমাকে সেটা বুঝতে দেয় নি কখনও। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন গল্প করে সমসাময়িক করে রেখেছিলেন। আমি মানুষ হয়েছি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বুকে ধারণ করে।
ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে, একজন মুক্ত বুদ্ধির যুক্তিবাদী সফল মানুষ হওয়ার গল্প শুনতে শুনতে মানুষ হয়েছি।
সব গোষ্ঠী সম্প্রদায় একসংগে মিলেমিশে খেলাধুলা করেছি। বড় হয়েছি। কখনও কাউকে ছোট করে দেখিনি।
তিনভাই মিলেমিশে থেকেছি।
স্কুল জীবন থেকেই বাবার প্রিয় উক্তি সাহিত্যিক আব্দুল কাদির এর লেখা “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট মুক্তি সেখানে অসম্ভব” উক্তিটি জীবনে ধারণ করার মন্ত্র নিয়েছি।
যেবার আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেব তার ক’দিন আগে বাবা হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাশ করেছিলাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে চান্স পেলাম।
ছোট থেকেই মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বই পড়তাম। ডিপার্টমেন্টের স্যারদের পরামর্শে পড়ালেখার পাশাপাশি বিজ্ঞানমনস্ক মানসিকতা গড়ে উঠলো।
আমাদের বিভাগের সবাই বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্য হলাম। কয়েকজনের অবশ্যই মতভেদ ছিল। কিন্তু স্যারদের ভয়ে কিছু বলতে পারে নি সেদিন।
এর মাঝে মা-ও হঠাৎ করে মারা গেলেন। বাড়িতে আসলাম। দেখলাম বড়ভাইটা সরকারী চাকরি পাওয়ার পর কেমন যেন বদলে গেছে। আমার সাথে তার মতভেদ তৈরি হলো। জমিজমা সব ভাগ করে পৃথক হয়ে গেল। আমরা দুভাই একসংগে থাকলাম।
যাই হোক মায়ের মৃত্যু সংক্রান্ত কর্তব্য শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ফিরে গেলাম।
আমরা বন্ধুরা কয়েকজন মিলে বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখতে থাকলাম। কিভাবে অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলানো যাবে, কিভাবে ব্যবসা করে একজন যুবক সফল হতে পারবে, কিভাবে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করে একজন যুবক সফল হতে পারবে তরুণ প্রজন্মের ভিতর এসব প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবতে থাকলাম।
আমার এক বন্ধু বললো একজন যুবককে যতক্ষণ অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী না করা যাবে ততক্ষণ মুক্তিযুদ্ধের সফলতা ঘরে আসবে না।
আমরাও তার সাথে একমত হলাম।
এর মাঝেই দেখলাম চারিদিকে ধর্মীয় উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া চাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা ধর্মের ভিত্তিতে সমাজ গড়তে চায়।
এই কুপমন্ডুকতা থেকে তরুণ প্রজন্মকে বের করে আনতে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিলাম।
এর প্রাথমিক ধাপ হিসেবে প্রত্যেকে তার স্ব স্ব গ্রামে লাইব্রেরী স্থাপনের কথা চিন্তা করলাম যেখানে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা হবে। যেখানে বিজ্ঞানভিত্তিক ও প্রগতিমনা বইগুলো তরুণ সমাজ পড়তে পারবে। যেখানে বিজ্ঞান চর্চা হবে।
বড়ভাই, এর মাঝে আমার ব্যাক্তিগত জীবনের কথা একটু বলি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি মেয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়েটার নাম ছিল আরশি। আমি যখন অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস পেলাম আরশি চোখ খুশিতে ডগমগ করে উঠলো। সে বিয়ের প্রস্তাব দিলো। আমি বললাম মাস্টার্স শেষ না করে বিয়ে করব না। কিন্তু তার পিড়াপিড়িতে আমার সিদ্ধান্ত বদলাতে হলো।
বললাম আমার অভিভাবক তো আমি নিজেই তাই তুমি তোমার আব্বুকে একদিন আসতে বলো।
আরশি খুশিতে তার আব্বুকে খবর দিলো। তার আব্বু আসলো। তাঁর আব্বুর বেশভুষা দেখেই বুঝলাম তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। কিন্তু কতটুকু কট্টর সেটা বোঝার উপায় ছিলো না। যাইহোক তাঁকে আমি আমার হলের রুমে নিয়ে বসালাম।
শুরুতেই তিনি আমাকে বললেন
বাবা, আমার একটি মাত্র মেয়ে। তাই আমি চাই আমার জামাইটা একটু ধর্মীয় মতাদর্শের অনুসারী হবে।
তা তুমি বাবা কি নামাজ-কালাম পড়ো?
আমি বললাম আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা রাখি আঙ্কেল।
তবে আমি ধর্মকে আমার রোজগারের সাথে মিলাতে রাজী নই। ধর্ম শুধু আমার আত্মিক উন্নতির বাহন হবে। আমার চরিত্র গঠন করবে।
আমার ব্যাক্তিজীবন, সামাজিক জীবন এবং রাজনৈতিক জীবন নির্বাহ করবে আমার বিজ্ঞান ভিত্তিক মনোজগত।
আমি সবকিছু যুক্তি দিয়ে বিচার করি। অন্ধভাবে কোনোকিছু বিশ্বাস করতে রাজী না।
উদাহরণ দিলাম
বাংলার জাগরণ’ প্রবন্ধে অক্ষয় কুমার দত্তের একটা বিখ্যাত সমীকরণ দেয়া আছে এভাবে—
পরিশ্রম = শস্য
পরিশ্রম + প্রার্থনা = শস্য,
সুতরাং, প্রার্থনা = ০
সুতরাং প্রার্থনাকে শুধু মনের উন্নতি ঘটানো ছাড়া আর কিছু ভাবি না। প্রার্থনা অবশ্যই করব তবে সেটা মনস্তাত্ত্বিক পরিচ্ছন্নতা আনার জন্য। মনোজগতের উন্নতির সিঁড়ি প্রার্থনা আর ব্যক্তিজীবনের উন্নয়নের সিঁড়ি পরিশ্রম পরিশ্রম পরিশ্রম আর পরিশ্রম।
আমার কথাগুলো আরশির বাবার পছন্দ হয়নি। আর তাঁর কথাগুলোও আমার ভালো লাগেনি। দেখলাম দুজনের মতাদর্শ ভিন্ন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখে। মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নেয় কিন্তু মনে নিতে পারে না।
ভাবলাম এই পরিবারের সাথে আমার কখনও সমঝোতা হবে না। আদর্শের মিল না হলে সেখানে সম্পর্ক গড়া যায় না। সুতরাং আগে থেকেই কেটে পড়া ভালো। সেই থেকে আরশির সাথে আর যোগাযোগ রাখিনি। আরশি অবশ্য অনেক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে। নানা অজুহাতে কাটিয়ে গেছি।
যাই হোক আমাদের লাইব্রেরী মিশন সফল করার উদ্দেশ্যে যে যার গ্রামে ফিরে গেলাম।
আমিও এলাম আমার গ্রামে।
আমি প্রথম আপনাদের সহযোগিতায় আমার নিজস্ব জমিতে দুই রুমের একটি ঘর তৈরি করলাম। ইচ্ছা ছিলো একরুমে হবে লাইব্রেরী ও অন্য রুমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা।
প্রায় ২০/২৫ জন তরুণ ছেলেকে আমার মতাদর্শে গড়ে তুললাম।
কিন্তু দেখলাম গ্রামটা কেমন যেন বদলে গেছে। কিছু মানুষ যেন ধর্মভীরু নয় ধর্মান্ধ হয়ে গেছে। সবকিছুর বিচার করে ধর্ম দিয়ে। যেকোন সমস্যায় ধর্ম টেনে আনে।
গ্রামে আগের মতো সেই জারি সারি যাত্রাগান হয় না। পহেলা বৈশাখ নববর্ষ সেই আমোদ করে আর পালন হয় না। ঈদ পূজাতে যে সব ধর্মের মানুষের মিলনমেলা বসতো এখন তা আর হয় না।
সব জায়গায় ধর্মীয় ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে।
আমার এই লাইব্রেরী মিশনে প্রধান উদ্দেশ্য হলো তরুণ সমাজকে এ সংকীর্ণতা থেকে বের করে আনা। ওখানে বিজ্ঞান মনষ্ক বই পড়ানো হবে। প্রগতিশীল সাহিত্য পড়ানো হবে। দৈনন্দিন খবরের কাগজ পড়ানো হবে। বিশ্বকে জানার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হবে।
মুক্ত মনের উদার মানুষ তৈরি করার ক্ষেত্র তৈরি করে দেওয়া হবে।
এতে একদিকে যেমন তরুণ সমাজের বুদ্ধির মুক্তি ঘটবে অন্যদিকে তেমনি তাদের মোবাইল, মাদক ইত্যাদি নেশাগ্রস্ততা থেকে মুক্তি মিলবে।
প্রথম যেদিন লাইব্রেরী স্থাপন সংক্রান্ত মিটিং ডাকলাম।
গ্রামের সব মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করলো।
সবাই আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলো।
কিন্তু এরমধ্যে কিছু মানুষ চাইলো এই লাইব্রেরীতে শুধুমাত্র ধর্মভিত্তিক বই থাকবে।
আমি বললাম না এখানে সবধরনের বই থাকবে। তবে বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রগতিশীল বইগুলো বেশি থাকবে যা পড়ে তরুণরা মুক্তমনের যুক্তিবাদী মানুষ হতে পারে।
তারা বললো, তাহলে তো আমাদের ছেলেরা ধর্ম থেকে দূরে সরে যাবে। নাস্তিক হয়ে যাবে। এটা হতে দেওয়া যাবে না।
আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলাম, আমিও একজন সাচ্চা মুসলমান। আমিও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা রাখি। আপনারা জানেন আমার বাবাও ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
কিন্তু আমি ধর্মকে দেখি আত্মিক উন্নয়ন ও চরিত্র গঠনের হাতিয়ার হিসেবে। তাকে আমি রাষ্ট্র পরিচালনা, সমাজ উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টিতে টানতে চাই না।
এসবক্ষেত্রে কাজ করবে বিজ্ঞান। কাজ করবে উন্নত মস্তিষ্ক, মুক্ত বুদ্ধি।
তাইতো প্রথম বুদ্ধির মুক্তি প্রয়োজন। আর আমাদের এ আন্দোলন বুদ্ধির মুক্তি ঘটানোর জন্য।
কিন্তু তারা আমাকে বুঝলো না। আমাকে নাস্তিক আখ্যা দিলো।
সেই থেকে তাদের সাথে আমার মতবিরোধ শুরু হলো।
তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি আমার মিশন বাস্তবায়ন করবই। তাতে যদি আমার জীবনও যায় যাবে।
আর বড়ভাই হিসেবে আপনার কাছে আমার অনুরোধ এই লাইব্রেরীর দায়িত্বটা আপনাকে নিতে হবে।
আমার তৈরি ছেলেরা আছে আর আপনারা আছেন সবাই মিলে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন।
ওরা আমাকে সেই থেকে প্রায়ই হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে। হয়তো মেরেই ফেলবে। তবু আমি পিছপা হতে রাজি না। বিপ্লব রক্ত ছাড়া আসে না।
আমি আমার ছেলেদেরও বলেছি। আপনাকেও বলে যাচ্ছি যদি আমাকে মেরেও ফেলে আমার লাশটা কোনো মেডিকেল কলেজে দান করে দেবেন। যেন আমি মানুষের কাজে আসতে পারি।
আজ সত্যিই তাকে মেরে ফেললো। দেশের একটা প্রগতিশীল মুক্তবুদ্ধির ভবিষ্যতকে শেষ করে দিলো।
একটা স্বপ্নকে নষ্ট করলো। যারা তাকে মেরেছে জানিনা তাদের কি শাস্তি হবে নাকি আইনের ফাঁক ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
পুলিশকে অনুরোধ করলাম তার লাশটা পোস্টমর্টেম শেষে মেডিকেল কলেজকে দান করে দেওয়ার জন্য।
আজ এই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলছি তবু মুক্ত বুদ্ধির জয় হবেই। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের একদিন সফলতা আসবেই।